শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ২৬ মার্চ থেকে রেলের টিকিট বিক্রি হবে সহজ লিমিটেডে। সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ সময় রেলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘সহজ’ এর সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে।
এর আগে দীর্ঘ ১৫ বছর রেলে একচেটিয়া ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে আসছিল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)। সম্প্রতি সিএনএস এর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে রেলওয়ে। টিকিট বিক্রি এবং চুক্তি নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। পরে রেলওয়ে ও সহজের মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি টিকিটের জন্য সহজ লিমিটেডকে ২৫ পয়সা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। যেখানে সিএনএসকে দিতে হতো প্রায় তিন টাকা। আগামী ১৮ মাস তারা আগের সার্ভারে (রেলওয়ের নিজস্ব সার্ভার) কাজ চালিয়ে যাবে। এরপর প্রয়োজন হলে টিকেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন আনবে এবং নিজস্ব সার্ভারে কাজ করবে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেড কর্তৃক রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে ৭৭টি স্টেশনে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি কর্তৃক কম্পিউটার টিকেটিং সিস্টেম পুনরায় সচল রাখার জন্য সিস্টেমে কিছু কারিগরী ও প্রযুক্তিগত কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে যার জন্য ন্যূনতম পাঁচ দিন সময় প্রয়োজন হবে।
যেহেতু বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ইস্যু কার্যক্রম একদিনও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই বিধায় টিকিট ইস্যু কার্যক্রম সচল রাখার লক্ষ্যে ২১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিন অনলাইনে এবং কাউন্টারে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করার পরিবর্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে।
এরপর ২৬ মার্চ হতে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র (সহজ) মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং সিস্টেম পুনরায় চালু করা হবে। আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রীম টিকিট ইস্যু করা হবে এবং এক্ষেত্রে সব টিকিট উন্মুক্ত থাকবে। কোনো কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না।